মাহিরা তাসফি প্রভা, রূপগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এলাকায় গ্রামের রাস্তাঘাটে খানাখন্দে পরিনত হয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত স্বল্পবাজেটে তৈরী এসব রাস্তাঘাটে অবৈধ ইছারমাথা,লড়ি, নসিমন, বটবটি চলাচল করে অকালে নষ্ট করছে এসব রাস্তাঘাট। এতে চরমভাবে যাতায়াত ভোগান্তি পোহাচ্ছে এ অঞ্চলের জনসাধারণ।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের অর্থায়নে গত অর্থবছরে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মান করা হয়। এসব রাস্তার কোনটিতে মাটি ভরাট,আবার কোনটায় ইট সলিং এমনকি পাকাকরণ করা হয়। কিন্তু বছর না যেতেই ওইসব রাস্তাঘাট পরিণত হয়েছে খানাখন্দে। স্থানে স্থানে মাটি ধ্বসে আবার গর্ত তৈরি হয়ে চলার অনুপযোগী হয়ে গেছে। আর এসব রাস্তা দিয়েই অবাধে চলছে স্থানীয় মালবাহি অবৈধ যানবাহন। তাতে আরও নষ্ট হচ্ছে গ্রামের রাস্তাগুলো। এমন চিত্র রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে।
সূত্র জানায়, গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য একটি ৭শ মিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে গত অর্থ বছর। কিন্তু বছর না যেতেই মাটি চলে গেছে পাশের জমিতে। স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মিয়া বলেন, এ সমস্যা তৈরি হয়েছে ইছারমাথা নামীয় ট্রাক্টর আর স্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমনের কারনে। এসব যানবাহনে ইটা,বালি রডসহ ভারী বস্তু বহন করার সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে গোয়ালপাড়া স্কুলে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে আছে।
একই চিত্র উপজেলার পিতলগঞ্জ, জাঙ্গীর,হারিন্দা, মুশুরী,দক্ষিণবাগ, কেয়ারিয়া গ্রামেও। তাদের ভোগান্তির কারন ওই অবৈধ যানবাহন বলে দাবী করেছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা৷
স্থানীয় ঠিকাদার ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামের রাস্তা মেরামতে বাজেট কম থাকে তাই টেকসই করে করা সম্ভব হয় না। ফলে ভারী যান চলাচল করলে তা ভেঙে যায়।
রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দীন ভুঁইয়া বলেন, সরকার যেমন বাজেট দেয় তা দিয়ে স্থানীয় রাস্তাঘাট করে দেই৷ চেষ্টা থাকে রাস্তা যেন টেকসই হয়৷ তবে অবৈধ গাড়ী চালিয়ে রাস্তা নষ্ট করে দিচ্ছে। এসব নিযন্ত্রণে ব্যবস্থা নেব।
এদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী জামালউদ্দীন বলেন, যেখানে যেমন বরাদ্দ প্রয়োজন তাই দেয়া হয়৷ ভারী যানবাহনের কারনে সেসব রাস্তা টেকসই থাকে না।
তারিখঃ ১৮.১১. ২০২১ইং